👹জিনাক্রান্ত মানুষকে কিভাবে চিনবেন?

কোন মানুষ যদি জিন দ্বারা আসর গ্রস্থ হয়, তাহলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে কিছু বিষয় লক্ষণীয় ,

যেমন:

১/সরাসরি জিন শরীরে এসে কথা বলা।

২/ হঠাৎ করে বেহুশ হওয়া ,এটা একবার কিংবা বহুবার একদিন কিংবা বহুদিন থেকে হতে পারে।

৩/ প্রচন্ড মাথা ব্যাথা করা , এই ব্যাথা মাথার এক পাশ কিংবা কয়েক পাশে হতে পারে।আর এই ব্যাথা প্রায় হওয়া।

৪/মাথা ব্যাথা সহ জ্বর আসা প্রায় সময় এটা চলমান থাকা , অনেক ভালো হয় আবার ফিরে আসে।

৫/ নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত পড়া।

৬/বুকে বান পড়া।

৭/শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অথবা যে কোন অঙ্গে চলমান ব্যাথা থাকা, তা কোনো ডাক্তারের চিকিৎসায় নিরাময় হয় না।

৮/ দিন দিন শুকিয়ে যাওয়া, সুস্বাস্থ্য হারানো।

৯/ যৌন সমস্যা দেখা দেওয়া যা কোন ঔষুধে পূর্ণ সমাধান হয় না।

১০/সরাসরি কিংবা ঘুমের ভিতরে বিভিন্ন ছায়া কুকুর, বিড়াল ,অচেনা মানুষ ভয়ঙ্কর অবস্থায় দেখা ,লাশ , ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি ,কোন নারীকে পুরুষের সাথে ফিজিক্যাল রিলেশন করা ,কারো সাথে ঝগড়া করতে দেখা, ঘুমের ভিতর কাউকে ভালোবাসা কিংবা তার প্রস্তাব দেওয়া কিংবা কোনো নারী বা পুরুষ এর পক্ষ থেকে ঘুমের ভিতর প্রস্তাব আসা, ঘুমের ভিতরে বিভিন্ন জিনিস খাওয়া, উপর থেকে নিচে পড়ে যাওয়া অথবা পশু পাখির মত উড়ে বেড়ানো, ঘুমের ভিতর বন -জঙ্গল,সাগর- নদী ,পাহাড়- পর্বত‌ অচেনা জায়গায় ঘুরে বেড়ানো, ঘুমের ভেতর ভয়ানক পরিস্থিতি দেখে চিৎকার দেওয়া, প্রস্রাব করা,

 ঘুমের ভিতর আগুন, বন্য পশু -পাখি যা নিয়মিত কিংবা অনিয়মিত ঘুমের ভিতর স্বপ্নে আসা, তাছাড়া ঘুমের ভিতর কে যেন পাশে শুয়ে আছে ,এরকম মনে হওয়া বা কেউ চেপে ধরা অথবা নিয়ে যাচ্ছে, ভয়ানক কিছু দেখা, ইত্যাদি সর্বশেষ কথা হল ঘুম থেকে উঠার পর নিজেকে শান্ত মানে না হওয়া ও রোগীর সাথে জ্বিনের আছর আছে বলে আলামত পাওয়া যায়। এগুলো বিভিন্ন রোগ ব্যাধির কারণ হতে পারে, তবে সেগুলোর সংখ্যা খুবই কম।

১১/হঠাৎ জবান বন্ধ হয়ে যাওয়া।

১২/হঠাৎ করে গলায় ফিসফিস করে আওয়াজ হওয়া

১৩/সংসারে কারণ ছাড়াই ঝগড়া লেগে যাওয়া অথবা ঝগড়ার উপযুক্ত কারণ খুঁজে না পাওয়া।

১৪/ইনকামের পথ দিন দিন কমে যাওয়া কোন কারণ ছাড়াই অর্থনীতির ভালো অবস্থান থেকে নিম্নগতির দিকে যাওয়া।

১৫/হঠাৎ করে খিটখিটে মেজাজের হয়ে যাওয়া। নিজের উপর অনিন্ত্রিত হওয়া আর সেটা নিজে বুঝতে পারা,,, আর এটা যদি নিয়মিত চলতে থাকে তাহলে বুঝতে হবে জিন দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত আপনি নিজে, তাছাড়া এগুলো স্বাভাবিক কারণে হতে পারে।

১৬/স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বেদে থাকা ।স্বামী স্ত্রী একে অপরের প্রতি বিরক্ত অনুভব হওয়া, স্বামী স্ত্রী একে অপরের প্রতি আসক্তি মনোভাব দিন দিন কমে যাওয়া উপযুক্ত বয়স থাকা সত্ত্বেও। অন্তরঙ্গ মুহূর্তে স্বামী অথবা স্ত্রী আকাঙ্ক্ষা থেকে বিমুখ হতে চাওয়া জিনের আছর এর সাথে সম্পৃক্ত।

১৭/শরীরে নিয়মিত রোগব্যাধি লেগে থাকা যা কোন ডাক্তারের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় রোগব্যাধির সংযোগ নয়। এমন অসুস্থ ব্যক্তি ও জিন ও যাদুর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

১৮/অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগা বা খুদা না লাগা পেট ফুলে থাকা, স্মরণশক্তি কমে যাওয়া পড়াশোনার প্রতি আমনোযোগী হওয়া ,হঠাৎ নিজেকে অন্যরকম মনে হয় নিজের ভিতরে এরকম যদি মনে হয় কেন ভালো লাগতেছে না তা আমি নিজে জানি না,,,, অজানা আতঙ্কে ভোগা, শুধু শুধু ভয় পাওয়া রাতে কিংবা দিনে, হঠাৎ হেঁচকি ওঠা, খিচুনি উঠা, শরীর জ্বালাপোড়া করা, তোতলানো, শিক্ষার প্রতি অমনোযোগী কাজের প্রতি অমনোযোগী একা থাকার আকাঙ্ক্ষা, শব্দ শুনতে ভালো না লাগা ,ইবাদাত ভালো লাগা না লাগা, নামাজের প্রতি অনীহা বোধকরা, তেলাওয়াত শুনলে কষ্ট লাগা, নিজের মনের ভিতরে বিভিন্ন কুপ্রবৃত্তি নিয়মিত আসতে থাকা যা মনে হবে কে যেন নিয়মিত মনের ভিতর বলছে অথবা নিয়মিত কানের মধ্যে বিভিন্ন শব্দ আসা, যা অন্য কেউ শুনতে পায়না এমন কিছু শব্দ শোনা। আরো অনেক বিভিন্ন আলামত রয়েছে যেগুলো জিন দ্বারা সংগঠিত হতে পারে বা জিনের আছর এর কারণে হয়ে থাকে ইনশাআল্লাহ পরে বিস্তারিত জানানো হবে। তবে জেনে রাখা দরকার একজন শক্তিশালী জিন দ্বারা মানুষকে মেরে ফেলা সম্ভব। তান্ত্রিকদের এবং শত্রুর শত্রুতার কারণে আপনার নিজের জীবনকে রক্ষা করতে মাসনুন আমল গুলো নিয়মিত করবেন আল্লাহর উপর ভরসা রেখে জীবন অতিবাহিত করবেন।আল্লাহ মানুষকে হেফাজত করে আর মানুষ দাওয়া দোয়া দ্বারা হেফাজতের চেষ্টা করে,,,,, মানুষ শুধুমাত্র চেষ্টা করতে পারে আর আল্লাহই সম্পূর্ণ সুস্থ কারী,, সকল বালা মুসিবত ও বিপদকে নিজের মন থেকে মেনে নিলে এবং পরীক্ষা মনে করলে ও এটা নিজের জন্য মঙ্গল জনক মনে করলে অশান্তির মাত্রা কমে যায়।

আল্লাহ আপনাদেরকে শান্তিতে রাখুক।জিন, বান, কুফরির ও মানুষ ,জিনের যাবতীয় অনিষ্ট থেকে

 হেফাজত করুক। আল্লাহুম্মা আমীন